অ্যাডার (Adder) কি? অ্যাডার (Adder) কত প্রকার ও কি কি?
অ্যাডার (Adder) কি?
যে সমবায় বর্তনীর সাহায্যে যোগের কাজ করা হয় তাকে অ্যাডার বলে।
এ বাইনারি যোগের সাহায্যে সকল গাণিতিক কাজ করা যায়। অর্থাৎ যোগ করা মানেই গুণ করা। যেমন গুণ করা মানে বার বার যোগ করা এবং ভাগ করা মানে বার বার করা। তাছাড়া পুরক পদ্ধতিতে যোগের মাধ্যমে বিয়োগের কাজ করা যায়। অ্যাডার হলো এমন একটি ডিজিটাল সমন্বিত ইলেকট্রনিক সার্কিট যা লজিক গেইট দ্বারা তৈরি এবং যোগের কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
অ্যাডার (Adder) কত প্রকার ও কি কি?
অ্যাডার দুই প্রকার। যথা-
১। অর্ধ যোগের বর্তনী (Half Adder) ও
২। পূর্ণ যোগের বর্তনী (Full Adder)।
অর্ধ যোগের বর্তনী বা হাফ অ্যাডার (Half Adder) কি?
১। অর্ধ যোগের বর্তনী বা হাফ অ্যাডার (Half Adder):
যে অ্যাডার দুটি বিট যোগ করে যোগফল ও হাতে থাকা অঙ্ক বা ক্যারি যোগ করতে পারে তাকে হাফ অ্যাডার বলে। দুটি বিটের যোগফল এবং ক্যারি বের করার জন্য হাফ অ্যাডার ব্যবহার করা হয়। যেমন-
অর্ধ যোগের বর্তনী বা হাফ অ্যাডার (Half Adder): |
মনে করি, দুটি ইনপুট A ও B। এদের যোগফল ১ ও ক্যারি C। সত্যক সারিণ থেকে S ও C এর শুধু 1 বিবেচনা করে নিচের সমীকরণ দুটি লেখা যায়।
S=AB+ AB = A + B এবং C= AB
২। পূর্ণ যোগের বর্তনী বা ফুল অ্যাডার (Full Adder):
পূর্ণ যোগের বর্তনী বা ফুল অ্যাডার (Full Adder):
যে বর্তনীর সাহায্যে তিনটি বাইনারি A, B, ও ক্যারি C যোগ করার পর দুটি আউটপুট সংকেত যার একটি যোগফল ১ এবং আউটপুট ক্যারি Co পাওয়া যায় তাকে ফুল অ্যাডার বা পূর্ণ যোগের বর্তনী বলে। তিনটি বিটের (দুটি বিট ও পূর্বের ক্যারির একটি) যোগ করাকে ফুল অ্যাডার বলে। ফুল অ্যাডারের ইনপুট A ও B এবং পূর্বের ক্যারি C এর আউটপুট যোগফল ১ এবং বর্তমান ক্যারি Co ।
হাফ অ্যাডারের সাহায্যে ফুল অ্যাডার বাস্তবায়ন:
দুটি হাফ আভার ও রো OR গেইটের সাহায্যে একটি ফুল অ্যাডার তৈরি করা যায়। নিচে লুট হা অ্যাডারের সাহায্যে ফুল অ্যাডার তৈরি করে দেখানো হলো। এখানে শুধু আউটপুটের প্রথম হাফ অ্যাডারের ইনপুট A ও B এর যোগফল, ১৭ ক্যারি C।
প্রথম হাফ অ্যাডারের বর্তনীর ক্ষেত্রে, S₁ = A + B এবং C₁=AB দ্বিতীয় হাফ অ্যাডারের দুটি ইনপুট হলো S₁ এবং C₁, এদের যোগফল ১ এ ক্যারি C₂।
সুতরাং দ্বিতীয় হাফ অ্যাডারের বর্তনীর যোগফল, C-ABC এবং, C₂=S₁C=(A+B)C